আজ রবিবার, ১৪ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কপাল পুড়ছে শামীম ওসমানের ,রাজপথে কামাল, পলাশ

কপাল পুড়ছে শামীম ওসমানের

কপাল পুড়ছে শামীম ওসমানের

সংবাদচর্চা রিপোর্ট: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জমে উঠেছে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতি।সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে ভোটের আলোচনা।

নারায়ণগঞ্জে মোট ৫টি আসন রয়েছে। সব আসনেই আ.লীগ বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠ চোষে বেড়াচ্ছে।
ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসন গঠিত। নারায়ণগঞ্জের অন্য আসনগুলোর চেয়ে ফতুল্লা সিদ্ধিরগঞ্জ আসনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক বয়ে গেছে এ আসনের উপর দিয়ে।

নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের বর্তমান এমপি শামীম ওসমান। ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি নানা কারণে বিতর্কীত হয়েছে। সম্প্রতি হকার ইস্যু নিয়ে সিটি মেয়র আইভীর উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে শামীম ওসমানের নামে।

শামীম ওসমান যখন সমালোচনার মুখে ঠিক সেই সময় আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জাতীয় শ্রমিকলীগের কেন্দ্রীয় শ্রমিক উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক কাওছার আহমেদ পলাশের বাসায় হঠাৎ যায়। সেই থেকে শুরু হয় আগামী নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনে কে হচ্ছে নৌকার মাঝি?

আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে ইতোমধ্যে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ। গত ১১ এপ্রিল চাষাড়ায় এক শ্রমিক সমাবেশে পলাশ তার প্রার্থীতা ঘোষণা করেন।

জানা গেছে কাওছার আহমেদ পলাশের রয়েছে শক্তিশালী কর্মীবাহিনী। পলাশ সমর্থকরা ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জে ব্যানার ফেসটুনে ছেয়ে ফেলেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজেদের অবস্থানের জানান দিচ্ছে।

ইতিমধ্যে শামীম ওসমান জানিয়েছেন জুন মাসের পর থেকে তিনি আর নারায়ণগঞ্জে থাকছেন না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যতগুলো জড়িপ হয়েছে তাতে শ্রমিক নেতা কাউছার আহমেদ পলাশ ও কামাল মৃধা ভালো অবস্থানে রয়েছে।

তাছাড়া নারায়ণগঞ্জ ৪ আসন থেকে শামীম ওসমানকে হঠাতে মাঠে নেমেছে কেন্দ্রীয় আ.লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য কামাল মৃধা।

শনিবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবে নৌকার মাঝি নামে একটি সংগঠনের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কামাল মৃধা বলেন-আমি মরি নাই, আমার বিরুদ্ধে ৩০টি মামলা, ২বার গুলি ও ৫ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে । আমার ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে ২০ বছরই আমাকে রাজনীতি থেকে বাহিরে রাখা হয়েছে।

তিনি আগামী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ প্রসঙ্গে বলেছেন, জীবন দিয়ে হলেও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন করব।

তিনি বলেন, এ বছর ১৬ই জানুয়ারি একটা ঘটনা ঘটে হকার ইস্যুকে কেন্দ্র করে। এর পরদিন রাত ৯ টায় আমি ফোন পাই আমাকে আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে। আমি বিষ্মিত হয়েছিলাম, একি সঙ্গে বুঝতে পারি যে আমার কাছে নির্দেশনা এসেছে। আমি আমার গন্তব্য পেয়ে গেছি। তাই আমি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাই।

অন্যদিকে সম্প্রতি কাউছার আহমেদ পলাশ বলেছে, কেউ মনোনয়ন ঠেকাতে পারবে না। আমি দীর্ঘ দিন দলের জন্য কাজ করে আসছি । শেখ হাসিনা চাইলে আমাকে মনোনয়ন দিতে পারে।

তাই পলাশ ও কামাল মৃধার কঠোর অবস্থানের ফলে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে আগামী নির্বাচনে শামীম ওসমানের কপাল পুড়তে পারে।